ব্যাঙাচি - মে ২০২০ (প্রথম সংখ্যা)
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান
ভূত নিয়ে আসলে কি বলে বিজ্ঞান? এত এত ভূতের ঘটনা, তাও কেন বিজ্ঞান ভূতের অস্তিত্ব স্বীকার করে না?
তার কারন, প্রতিটা ঘটনারই সম্ভাব্য ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের হাতে আছে।
গভীর রাতে, অথবা কুয়াশার আড়াতে যে সাদা জিনিসটাকে তুমি উড়তে দেখেছো হতে পারে সেটা জাস্ট একটা চাদর। রাতে দরজার ঠকঠক হতে পারে বাতাসের শব্দ। পুকুরে জ্বলতে থাকা গ্যাস থেকে হয় ভূতের আলো। পরিবেশ, পরিস্থিতি, স্মৃতি বিভ্রম অনেক স্বাভাবিক ঘটনাকে বড় করে তোলে।
তার উপর অনেক ঘটনা আছে যেটা মোটেও স্বাভাবিক হয়। ধরো একটা ভূতুরে বাড়িতে গেলেই মানুষের অস্বাভাবিক অনুভূতি হয়। অনেকেই ভৌতিক জিনিস দেখে। এর ব্যাখ্যা হতে পারে ওই বাড়িতে ইনফ্রাসাউন্ডের সোর্স আছে, ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড আছে, অথবা কোন কেমিক্যাল আছে। যে খনিতে ভূতের হাতে অনেক মানুষ মারা গেছে, আর যারা বেঁচে ফিরেছে সবাই ভয়ঙ্কর কিছু দেখেছে- হতে পারে সেখানে আসলে ছিল ভয়ঙ্কর কার্বন মনো অক্সাইড।
সিজোফ্রেনিয়া অদ্ভুত পরিবর্তন করে মানুষের ব্রেইনে। উল্টা পাল্টা দেখে, যা কেউ দেখতে পারে না। ডিসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিজর্ডার হলে মানুষের ব্রেইনে অনেক সত্ত্বার জন্ম হয়, অন্যের গলায় কথা বলে। ভুলে যায় আগে কি করেছিল। অন্য নাম, অন্য পরিচয় ধারণ করে। সাথে তীব্র ডিপ্রেশন থাকলে হয়তো নিজেকে কাটাছেড়া করে পরে নিজেই ভুলে যায়। এক্সপ্লোডিং হেড সিন্ড্রোম হলে গভীর রাতে তীব্র শব্দে জেগে ওঠে মানুষ। অ্যাড্রেনালিন রাশের সময় শরীরে শক্তি অনেক বেড়ে যায়, কয়েকজন টেনে ধরে রাখতে পারে না। এদেশে মানসিক রোগ অনেক বেশি, কুসংকারের কারণে এখানে সাইক্রিয়াটিস্ট দেখায় না কেউ, রোগ পুষে রেখে বড় করে।
তার উপর আছে ভন্ড বাবারা। হাত দেখে ভবিষ্যত বলে দেয় জ্যোতিষী, শূন্যে ভেসে থাকে লেভিটেশন বাবা। ভুয়া টেলিপ্যাথির দাবীদার নাকি মনের কথা পড়তে পারে, ই এস পি মাতা চোখ মেললে দেখতে পারে ভবিষ্যৎ!!
এইসব হাজারো কুসংস্কার ডিবাঙ্ক করে সাজানো হয়েছে ব্যাঙাচির প্রথম সংখ্যা - ভূত। সবই বিসিবির মেম্বারদের লেখা, কিন্তু সব যাঁচাই বাছাই করে নেওয়া। প্রকাশিত হচ্ছে আজ ১৪ই মে, বিসিবির জন্মদিন। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
প্রকাশক: নাঈম হোসেন ফারুকী
(প্রতিষ্ঠাতা, ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান)
তার কারন, প্রতিটা ঘটনারই সম্ভাব্য ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের হাতে আছে।
গভীর রাতে, অথবা কুয়াশার আড়াতে যে সাদা জিনিসটাকে তুমি উড়তে দেখেছো হতে পারে সেটা জাস্ট একটা চাদর। রাতে দরজার ঠকঠক হতে পারে বাতাসের শব্দ। পুকুরে জ্বলতে থাকা গ্যাস থেকে হয় ভূতের আলো। পরিবেশ, পরিস্থিতি, স্মৃতি বিভ্রম অনেক স্বাভাবিক ঘটনাকে বড় করে তোলে।
তার উপর অনেক ঘটনা আছে যেটা মোটেও স্বাভাবিক হয়। ধরো একটা ভূতুরে বাড়িতে গেলেই মানুষের অস্বাভাবিক অনুভূতি হয়। অনেকেই ভৌতিক জিনিস দেখে। এর ব্যাখ্যা হতে পারে ওই বাড়িতে ইনফ্রাসাউন্ডের সোর্স আছে, ম্যাগ্নেটিক ফিল্ড আছে, অথবা কোন কেমিক্যাল আছে। যে খনিতে ভূতের হাতে অনেক মানুষ মারা গেছে, আর যারা বেঁচে ফিরেছে সবাই ভয়ঙ্কর কিছু দেখেছে- হতে পারে সেখানে আসলে ছিল ভয়ঙ্কর কার্বন মনো অক্সাইড।
সিজোফ্রেনিয়া অদ্ভুত পরিবর্তন করে মানুষের ব্রেইনে। উল্টা পাল্টা দেখে, যা কেউ দেখতে পারে না। ডিসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিজর্ডার হলে মানুষের ব্রেইনে অনেক সত্ত্বার জন্ম হয়, অন্যের গলায় কথা বলে। ভুলে যায় আগে কি করেছিল। অন্য নাম, অন্য পরিচয় ধারণ করে। সাথে তীব্র ডিপ্রেশন থাকলে হয়তো নিজেকে কাটাছেড়া করে পরে নিজেই ভুলে যায়। এক্সপ্লোডিং হেড সিন্ড্রোম হলে গভীর রাতে তীব্র শব্দে জেগে ওঠে মানুষ। অ্যাড্রেনালিন রাশের সময় শরীরে শক্তি অনেক বেড়ে যায়, কয়েকজন টেনে ধরে রাখতে পারে না। এদেশে মানসিক রোগ অনেক বেশি, কুসংকারের কারণে এখানে সাইক্রিয়াটিস্ট দেখায় না কেউ, রোগ পুষে রেখে বড় করে।
তার উপর আছে ভন্ড বাবারা। হাত দেখে ভবিষ্যত বলে দেয় জ্যোতিষী, শূন্যে ভেসে থাকে লেভিটেশন বাবা। ভুয়া টেলিপ্যাথির দাবীদার নাকি মনের কথা পড়তে পারে, ই এস পি মাতা চোখ মেললে দেখতে পারে ভবিষ্যৎ!!
এইসব হাজারো কুসংস্কার ডিবাঙ্ক করে সাজানো হয়েছে ব্যাঙাচির প্রথম সংখ্যা - ভূত। সবই বিসিবির মেম্বারদের লেখা, কিন্তু সব যাঁচাই বাছাই করে নেওয়া। প্রকাশিত হচ্ছে আজ ১৪ই মে, বিসিবির জন্মদিন। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
প্রকাশক: নাঈম হোসেন ফারুকী
(প্রতিষ্ঠাতা, ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান)
Τόμος:
01
Έτος:
2020
Έκδοση:
প্রথম
Εκδότης:
ব্যাঙের ছাতার বিজ্ঞান
Γλώσσα:
bengali
Σελίδες:
115
ISBN 10:
0879759712
ISBN 13:
9780879759711
Σειρές:
ব্যাঙাচি
Αρχείο:
PDF, 7.97 MB
IPFS:
,
bengali, 2020